Friday, August 14, 2015

দীপ্তিময় ত্বকের রহস্য লুকিয়ে আছে আপনার কিচেনেই

কে বলেছে সুন্দর দীপ্তিময় ত্বকের পেছনে অবদান কেবল নামীদামী প্রসাধনী সামগ্রী আর পার্লারের বিউটিশিয়ানদের হাতের কারসাজী! আপনার মলিন আর
নিষ্প্রাণ ত্বকে আবার পুনরায় লাবণ্য ও প্রাণ ফিরিয়ে আনার সকল উপাদানই রয়েছে আপনার হাতের কাছে, শুধু আপনাকে জানতে হবে কোন জিনিসের কি গুণ আর কোন উপাদানে আপনার ত্বক নতুনভাবে দীপ্তিময় হয়ে উঠবে।
আধুনিক যুগের বিভিন্ন ক্ষতিকারক কেমিক্যাল আর অস্বাস্থ্যকর উপায়ে উৎপাদিত প্রসাধনীর ভিড়ে যারা আজও ত্বকের যত্নে প্রাকৃতিক আর ঘরোয়া উপায়ের উপর অনেকটা আস্থা রাখেন আজকের আর্টিকেল তাদের জন্য। আজ আপনাদের জানাবো কি করে আপনার হাতের নাগালের কিচেনে জমিয়ে রাখা ন্যাচারাল উপাদান দিয়েই আপনার ত্বক করে তুলবেন দীপ্তিময় আর প্রাণবন্ত।
যা করবেন-
পোরস লকঃ
১ টেবিল চামচ টমেটো জুসের সাথে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে আপনার মুখের ত্বকে লাগিয়ে ১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। আপনার ত্বকের বড় হয়ে যাওয়া পোরসগুলো লক করতে এই রেসিপির জুড়ি নেই।
স্কিন টোনিং লোশনঃ
১ টেবিল চামচ শশার রস, কয়েকটা ফোঁটা লেবুর রস সাথে কিছু পরিমাণ হলুদের গুঁড়া মিশিয়ে আপনার ত্বকে ৩০ মিনিট রাখুন পরে মুখ পরিস্কার করে ধুয়ে নিন। ঘরোয়া ভাবে স্কিন টোনিং লোশন হিসেবে আপনি নিশ্চিন্তে ব্যবহার করতে পারেন।
সেন্সিটিভ স্কিনের টনিকঃ
১ টেবিল চামচ শশার রস, ১ টেবিল চামচ দুধ ও কয়েকফোঁটা গোলাপ জল মিশিয়ে আপনার ত্বকে ১৫ মিনিট লাগিয়ে রাখুন আর পরে মুখ ধুয়ে ফেলুন। আপনার ত্বক যদি হয় সেন্সিটিভ তাহলে ত্বকের যত্নে টনিক হিসেবে এটি নিয়ম করে ব্যবহার করুন।
অয়েলি স্কিনের টনিকঃ
১ টেবিল চামচ আপেলের রসের সাথে কয়েকফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে সেই মিশ্রণটি আপনার অয়েলি স্কিনে লাগিয়ে ২০ মিনিট রেখে ধুয়ে নিন। অয়েলি স্কিনের জন্য টনিক হিসেবে এঁর তুলনা হয়না।
ক্লিনজিং লোশনঃ
১\৪ টেবিল চামচ লেবুর রস, ১ টেবিল দুধ ও ১ টেবিল চামচ শশার রস একসাথে মিশিয়ে নিন। এবার এই মিশ্রণটি আপনার মুখের ত্বকে লাগিয়ে ২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। ত্বক পরিস্কার করার জন্য এই ঘরোয়া উপাদানে বানানো লোশন খুব কাজের।
রিংকেলঃ
একটি কলা মিহি করে চটকে তাতে খানিকটা উষ্ণ মধু মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে সেটা আপনার রিংকেল স্পটে লাগান এবং কিছুক্ষণ রেখে তুলে ফেলুন। প্রাকৃতিক ভাবে রিংকেল সাড়াতে এই পেস্ট নিয়মিত কিছুদিন ব্যবহার করলে ভালো ফল পাবেন।
অ্যান্টি-এজিং মাস্কঃ
গাজরের কিছুটা অংশ ব্লেন্ড করে এর সাথে একটি ডিমের সাদা অংশ মিশিয়ে এই মিশ্রন আপনার ত্বকে লাগালে এটি অ্যান্টি-এজিং মাস্ক হিসেবে কাজ করবে। ডিমের প্রোটিন ও ভিটামিন স্কিন টাইটেনিং ও ফ্রাম করে। আর গাজরের বিটা-ক্যারোটিন উপাদান আপনার ত্বকের রিংকেল ও এজিং সাইন কমিয়ে আনে।
চোখের ফোলাভাবঃ
একটি পাত্রে সমপরিমাণ শশা ও আলুর রস মিশিয়ে আপনার চোখের নীচের ফোলা অংশে লাগিয়ে ১৫ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। আলু আর শশা এই দুইই স্কিন সুদিং অর্থাৎ শীতলকারী উপাদান হিসেবে পরিচিত আর তাই এই দুইয়ের মিলিত উপাদান আপনার চোখের ক্লান্তি দূর করে চোখ চোখের নীচের ফোলা ভাব কমিয়ে তোলে।
সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে গিয়ে এখন আমরা অনেকেই ত্বকের জন্য ঘরে বসে ঠিকঠাক যত্ন করতে পারিনা। যার কারণে আমরা অনিচ্ছা থাকা সত্ত্বেও বাজারের প্রসাধনী সামগ্রীর উপর খুব বেশী নির্ভরশীল হয়ে পড়ছি। তবে আপনার হাতে যদি কিছুটা সময় থাকে চেষ্টা করুন ঘরোয়াভাবে আপনার ত্বকের যত্ন নিতে।

No comments:

Post a Comment